খোলা চিঠি (অংশ- ০২)
সুপ্রিয়া,
কেন জানি না খুব খারাপ লাগছে। নিঃসঙ্গতা ,নির্ভরতা নাকি শূন্যতার জন্য,ঠিক বুঝতে পারছি না। শুধু এ টুকু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরের কোথায় জেনো লুকানো জায়গা থেকে একদল অস্থিরতা প্রচণ্ড কান্না হয়ে দু’চোখ ফেটে বেরুতে চাইছে। তুমি কাছে নেই বলে শূন্যতা তার ইচ্ছে মত উন্মত্ত হয়ে উঠেছে এই নিঃঙ্গতার পালে হাওয়া দিতে। আমি যেন তোমার বুকে মুখ লুকালেই বাঁচি এখন! কিন্তু তুমি যে কত দূরে...অনেক দূরে।
আজ শেষ বিকেলে তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসার পথে হঠাত করে ছুটে আসা দমকা হাওয়া এসে আমার থেকে সব হাসি কেরে নেয়, যে হাসিটা তোমাকে দেখার, তোমার হাসিকে দেখার। বুঝলাম আমি এখনো খুবই নীরিহ, এখন তোমাকে কিছু বলতে গেলে সেটা তোমার কাছে হবে খুবই হাস্যকর। অথচ এই জীবনে তুমি-ই আমার একমাত্র মানুষ, যার পাঁচটি আঙ্গুলের শরণার্থী আমার পাঁচটি আঙ্গুল, যার উষ্ঠের এক চিলতা হাসিই আমার কাঙ্খিত ও একমাত্র গন্তব্য। যার এলোমেলো চুলে আমি নির্দিধায় হারিয়ে যেতে রাজি। যার দুটো অদ্ভুত সুন্দর চোখের চাহনী ঠিক সেই অদ্ভুত ফুলগুলোর মতই মতই সুন্দর, দেখে আমি প্রতি মুহুর্তে তার মায়ায় ডুবতে থাকি।
আজ হৃদয়ের করুন আর্তনাদে যে পরম সত্য আবারো অনুভব করলাম তা হলো "আমি শুধুই তোমার"। যদি এমন হতো তোমারো সে শেষ ঠিকানা আমি হলাম। কখনই তা মিথ্যা হতে দিবে না , কখনই ছেড়ে যাবে না। সেদি আমি পৃথীবির সবচেয়ে সুখী হতাম, চির ঋণি হতাম তোমার অদ্ভুত সুন্দর চোখজোড়ার, সেখানে অপলক তাকিয়ে বৃষ্টির সাথে আমি আনন্দ হয়ে ঝরে পড়তাম তোমার আঙিনার চারপাশে!
তোমাকে ভালবাসি প্রচণ্ড- এরচেয়ে কোনও সত্য আপাতত আর জানিনা!!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন