পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুমি আমার হবে

ছবি
তুমি শোনাবে আমায় জল বৃষ্টির গান আমি শুনাব তোমায় ভেজা অভিমান আমাদের সুখে থাকা সময়ের দাবি তুমি আমায় নীল আকাশ স্বপ্ন দেখাবে। আমি তোমার হব ভোর সোনালী সকালে আমি আমায় বেঁধে ফেল প্রেম মায়া জালে সারা দিন মায়া বীণ বাজুক ভালোবাসা উড়ে উড়ে সুরে সুরে তোমারই কাছে আসা। দুটি পাখি সুখে থাকি খড়কুটু নীড়ে ধুলু বালি খুঁটে খাই ফুল নদী তীরে গুধলির সোনা রোদ মেখে নিয়ে গায়ে জোনাকির আলো ঠোঁটে ফিরি পায়ে পায়ে। ডানায় ডানায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে রাত্রি হবে ভোর তুমি গো সখী আমার হবে আমি হব তোমার আকাশ গাঙে ভাসিয়ে উড়াল দিগন্তটা চুমি এই জনমে সেই জনমে আমার রবে তুমি।

আমার মাতাল হওয়া -০১

ছবি
এটা খুব জরুরী, এটা এই মুহূর্তের একমাত্র জরুরী বিষয়। বিষয়টা হচ্ছে আমি তোমাকে নিঃশেষ করে দেয়ার আগে, তুমি আমাকে নিঃশেষ করে দাও। আমি মাতাল হয়ে যাওয়ার আগে, তুমি মাতাল হয়ে যাও। বিষয়টা অনেকটা এই রকমই আর কি। কেন? কারণ, এটা খুব জরুরী! তুমি হয়তো বুঝছ না! এটাই এই মুহূর্তের একমাত্র জরুরী বিষয়। মুল বিষয়টা হচ্ছে …… আমি পুরুষ, তুমি নারী। তুমি তা পারনা যা আমি পারি। আমি পারি তোমাকে লালন করতে, তুমি পারো আমাকে ধারণ করতে। আমি পারি তোমাকে আদর করতে তুমি পার আমাকে বাঁদর করতে। আমি তোমাকে দেখি ধ্যানে তুমি দেখ আমাকে জ্ঞানে, আমি মগ্ন থাকি তোমাকে ধর্ম দিতে আর তুমি মগ্ন থাকো প্রতি মুহূর্তে আমাকে জন্ম দিতে। অদ্ভুত, তাই না!

আমার মাতাল হওয়া-০২

ছবি
আশ্চর্য! তুমি কেন দেখেও দেখনা! আমি তো তোমার ভিতরেই থাকি! তোমার ভিতরেই আমি শীতল পাটি পেতে ঘুমাই আরাম করি , খাই স্বপ্নের আবাদ করি দুঃখের ফসল কাটি ,করি নবান্ন উৎসব। চার দিকে তাকিয়ে দেখি ঠিক ঠাক সব! তাই, নিয়মিত কলেজে যাই সকালে বাজার করি সব সময় আমিই তো অপরাধী! তাই অসময়ে বলি সরি। জানো! তুমি যেদিন সম্পূর্ণ মাতাল হয়ে যাবে তুমি যেদিন আমাকে সম্পূর্ণ জন্ম দিতে পারবে আমিও মাতাল হব শত ভাগ। দুজন দুজনের ঠোঁটে চুমুক দিয়ে পান করবো অমৃত সুধা দুজন দুজনের চোখে তাকিয়ে মেটাবো আজন্ম ক্ষুধা। তবুও ক্ষুধা রয়ে যাবে জানি। সেদিন তোমাকে আমার ভালোবাসার গান শোনাবো সেদিন তোমাকে নিয়ে একটা অমর কবিতা লিখবো পৃথিবী ধ্বংস হলেও আমারা দুজন সেই কবিতার মায়া জালে আটকা পরে থাকবো। ভয়ঙ্কর সুন্দর… মুক্তি নেই। কোন মুক্তি নেই। না আমি তোমাকে মুক্তি দেব, না তুমি আমাকে মুক্তি দেবে না আমি তোমার কাছে মুক্তি চাইবো না তুমি আমার কাছে মুক্তি চাইবে। কারণ তখন আমারা কবিতার মিল বন্ধে সংসার করছি। কারণ তখন আমারা ছন্দে ছন্দে ঢেউ খেলছি। প্রথমে কবিতার বিছানায় আমাদের বাসর হবে, বাসর হবে টানা সাত দিন সাত রাত ...

অতঃপর আমি ব্যর্থ

ছবি
জীবন সাগরের অতুল ঢেউয়ে- ছেড়া পালের তরীর যাত্রাতে আমি ব্যর্থ।  সংশয় জাগে মনে- সাগরের ঢেউয়ে কখন জানি আছড়ে পড়বে তরী।  দিক বিদিকে ছুটে চলা শংকর আজ- ব্যর্থ ইতিহাসের রচনার ভূমিকাতেই আমি।  ক্ষান্ত মন আজ অতি ক্লান্ত- উদ্দেশ্যহীন নিশাচরের মত পথচলা।  জীবন সাগরে ভরাডুবি আজ এখানেই- অমলিন চোখে আজ দৃষ্টি প্রপাত।  শুধু শুধু মিছে আশা ব্যর্থ এই মনে, ক্লান্ত মাঝি আমি নিঃস্বার্থ দাঁড় টানি।  সংকোচ সংশয় সবই ঘিরেছে আমায়- ব্যর্থতা এসে আলিঙ্গনে স্বাগত জানাই, কবে কোন অনিশ্চিত এক ঢেউয়ে- ব্যর্থ তরীতে সাঙ্গ করবে আমায়।

এক জোড়া চড়ুই পাখি।

ছবি
শহর থেকে খানিকটা দূরে গেলে ছোট্ট একটি পাহাড় আছে, পাহাড়টির ঠিক পেছনে ছোট্ট একটি গ্রাম। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা গ্রামটিতে সুখে শান্তিতে বাস করত একজোড়া চড়ুই পাখি। পাখি দুজনের মাঝে ছিল গভীর ভালোবাসা। দুজনে একসাথে তাদের বাসা বেঁধেছিল মোড়ল বাড়ির বারান্দায়। একদিন তারা দুজন উঠোনে ধান খাচ্ছিল আর মেয়ে চড়ুইটা ছেলে চড়ুইকে গান শোনাচ্ছিল। হঠাৎ মেয়ে চড়ুইটি গান বন্ধ করে ছেলে চড়ুইকে জিজ্ঞেস করল, "প্রিয়তম আমাকে ছেড়ে তুমি কখনো উড়ে যাবে নাতো?" তখন ছেলে পাখিটি বলল- "উড়ে গেলে তুমি আমাকে ধরে আটকে ফেলো।" মেয়ে চড়ুইটি বলল - "নাহ্‌ জোর করে কাওকে আটকে রেখে তো তার মন পাওয়া যায় না।" তখন ছেলে চড়ুইটির চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে পড়লো, সে ধান কাঁটার কাঁচিটি দিয়ে তার পাখাটি কেটে ফেলল আর বলল- এখন থেকে আমরা সবসময় একসাথে থাকব। 😊 এরপর তারা মনের আনন্দে বাস করতে লাগলো, একদিন তারা কাছের একটি জঙ্গলে ঘুরতে গেলো, সেখানে হঠাৎ অনেক ঝড় শুরু হল, মেয়ে চড়ুইটি উড়ে চলে যাচ্ছিল, তখন ছেলে চড়ুইটি বলল- ''তুমি উড়ে যাও আমার তো পাখা নেই, আমি উড়তে পারব না।'' মেয়ে চড়ুইটি ছেলে চড়ুইট...

খোলা চিঠি (অংশ-১২)

ছবি
প্রিয় পরশ প্রেয়সী, জানি না এ লেখাগুলো তোমার চোখে কোনদিন পড়বে কি না বা পরলেও আমার কথা ভাববে কি না। তবুও  বলে যাব। জানো, একতরফা ভালবাসাকে আমি এতদিন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এসেছি, যারা একতরফা ভালবেসে যায় তাদের কে নিয়ে অনেক হাসি তামাশা করেছি। কিন্তু আজ আমি বুঝেছি, একতরফা ভালবেসে যেতে কতবড় হৃদয় লাগে, কতটা কষ্ট সইতে হয়, কতটা নিঃস্বার্থ হতে হয়। তোমাকে আমি পাগলের মত ভালবাসি কিন্তু আমি যে এখনও তোমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে পারিনি। মনের কোনে এখনও তোমাকে আপন করে পাবার বাসনা রয়ে যায়। তোমাকে হারাতে চলেছি এই কথাটা মনে হলেই জীবণটাকে অর্থহীন মনে হয়, মনে হয় তোমাকে ছাড়া এ ভুবনে থেকে লাভ কি? তুমি না থাকলে যে আমার জীবণ থেকে হাসি আনন্দ সককিছুই বিলীন হয়ে যাবে! তবুও আমি এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই, তোমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে চাই, জীবণের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত! আজকাল মহা সমস্যায় পড়েছি। নিজের অজান্তেই তোমার ছবিটার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকি, তোমায় নিয়ে ভাবতে থাকি, এমনকি তোমার কথাও মাঝে মাঝে অনুসরণ করিনা। আসলে তুমি চলে যাবার আগেই দু নয়ন ভরে তোমাকে দেখে নিতে চাই, চোখ জুড়িয়ে নিতে চাই, তাই অমন করি।...

রোমাঞ্চকর আত্মহত্যা

ছবি
আমি আত্মহত্যার কথা ভাবছি। আমি এক খণ্ড নিরবিচ্ছিন্ন মৃত্যুর কথা ভাবছি। দৈনন্দিন বিচ্ছিন্ন সব খণ্ড খণ্ড মৃত্যুতে আমি ক্লান্ত। মখমলের মত নরম ঘাসের জমিনে চিত হয়ে শুয়ে বাম হাতের ধমনীটা এক খণ্ড ধারালো কাঁচ দিয়ে সুচারু শিল্পের মত কচ করে দুভাগ করে দেব! শরীরের জ্বালান পোড়ান সব উত্তাপ মুখে নিয়ে- ফিনকি দিয়ে বেরুবে লাভার মত রক্ত স্রাব! আমার একান্ত ধূসর পৃথিবীটাকে- চোখের কোটরে পুরে নিয়ে যাব ধীরে ধীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যাব, আমি ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে যাব হেমের অতলে আমি ধীরে ধীরে তলিয়ে যাব জীবনের গভীরতম কূপে আমি হারিয়ে যাব…একদম হারিয়ে যাব আমাকে তোমরা আর খুজনা …আমি আর নেই। আহা! মৃত্যু কি রোমাঞ্চকর হতে পারে! কতটা রোমাঞ্চকর হতে পারে জীবনের প্রতিশোধ! কতটা লাল হতে পারে আমার অভিমান! তার চেয়েও লাল আমার রক্তজবার ফুল… সে ফুলের পাতায় পাতায় কাব্য লিখে ছিলাম- তুমি আমার ছিলে কি ছিলেনা- আমি তোমার ছিলাম। তোমরা ভাল থেকো- আমি ভাল আছি… আর শোন আমাকে কেউ আর খুঁজো না কখনো… আমি আর নেই… …… এক খণ্ড নিরবিচ্ছিন্ন মৃত্যুর কল্পনায় আমি লীন হয়ে আছি এই বেশ ভাল আছি- খুব ভাল…তুমিও ভাল থেকো।

তোমায় চাই-১

ছবি
এমন একটা সকাল চাই, ঘুম ভাঙুক আবার তোমার মেসেজে, ঘুমকাতুড়ে চোখ টেনে খোল ছলে-বলে; বা একটা ছোট্ট মেসেজ "গুড মর্নিং, শুভ হোক আজকের দিন" .. । .. এমন একটা ব্যস্ত দিন চাই, চলো হারাই এসপ্লানেড,প্রিন্সেপ ঘাট বা ময়দানে, কাটুক না সময় খুনসুটি, রাগ, অভিমানে .. তোমার অস্থির আঙুল বিলি কেটে যাক আমার আঙুল , শান্ত আদরের দাগগুলো রয়ে যাক তোমার ঠোটে । .. এমন একটা দুপুর চাই, কাঠফাটা রোদ্দুর, একটাই ছাতা, কলেজ স্ট্রীট, হাতে-হাত, মুচকি হাসি আর হাজার জন্মের কথা, চলো না আবার হাঁটি, শুধু হাতটা ধরতে দিবে? তুমি বড্ড বেপরোয়া, নইলে আবার ছেড়ে পালাবে । ..

তোমায় চাই-২

ছবি
এমন একটা আবছা গোধূলি চাই, আকাশের ঈশান কোন রক্তিম হোক, ছাদের চিলেকোঠা, বিরহে মানাক শোক । তুমি আর আমি চোখে চোখ ফেলে চেয়ে থাকি একটিবার  হোক না এরকম, অনেক কথা বলা বাকি .. .. এমন একটা সন্ধ্যে চাই, অনেক ক্লান্তিকর দিন হোক আবার শেষ, কথার ভাঁজে কথা আসুক, অন্তহীন আবেশ, "কিছু খেয়েছেন?" কেউ আবার জিজ্ঞেস করুক খুব যতনে.. বা কখনো রাজ্যের গল্প শোনাক আনমনে ..। .. এমন একটা গভীর কালো রাত চাই, ঘুম থেকে উঠেও যেন তোমাকেই পাই, এটাই চলুক না প্রতিদিন চক্রাকারে, ঘিরে রাখুক না সারাটাদিন আমার আদরে-আবদারে। -- চল না এবার ঘুমুতে যাই তোর আঙুলের ছোঁয়ায়, আয় না একটিবার, ভালোবাসলে কেউ ছেড়ে যায়? আর একবার না হয় তোমার স্পর্শে, তোমার কথায়, তোমার আবেগে ভাসি... জানি তাও ফিরবে না, যাই বলতে নেই, বল আসি..

আমি ভ্রমর হবো

ছবি
একদিন রাস্তার ধারে ~ কোন কফি হাউসে হাতে হাত... চোখে চোখ রেখে এই শহর ছেড়ে বহুদূরে... যেখানে কেউ নেই শত ক্রোশে.. যেখানে ইথারীয় মাধ্যমে ভেসে নেই কোন তরঙ্গ.. নেই কোন উম্মাদ নাগরিক দাবানল... সেখানে দিবারাত্রি...  -- তোমার খোঁপার বনেদি গোলাপে... টকটকে লাল পাপড়ির পেলবতায় ঘুরঘুরে ভ্রমর হব আমি.. একদিন, একটি সবুজ গ্রামে তোমার হৃদয় মন্দিরে.. পুজোর ফুলে ফুলে সাজানো থালির কর্পূর হব.....আমি.... একদিন, হিজলের মিশমিশে ঘনকালো পাতার ফাঁকেফাঁকে একটি নীড়ে, ভালবাসার দুটি চড়ুইপাখি হব.. তুমি ও আমি... -- তারপর... দুটি দিগন্তে সূর্য তারা চন্দ্র মেখে ডানা ঝাপটিয়ে ডাহুকের ডানা হব আমরা... একদিন ঘাসফড়িঙ পাখায় দুটি নক্ষত্র হবে আলো.... ততদিন ধ্রুবতারা তুমি বুকেই জ্বলো, আমি রাত্রি হব...