আমার মাতাল হওয়া-০২


আশ্চর্য!
তুমি কেন দেখেও দেখনা!
আমি তো তোমার ভিতরেই থাকি!
তোমার ভিতরেই আমি শীতল পাটি পেতে ঘুমাই
আরাম করি , খাই
স্বপ্নের আবাদ করি
দুঃখের ফসল কাটি ,করি নবান্ন উৎসব।
চার দিকে তাকিয়ে দেখি ঠিক ঠাক সব!

তাই,
নিয়মিত কলেজে যাই
সকালে বাজার করি
সব সময় আমিই তো অপরাধী!
তাই অসময়ে বলি সরি।

জানো!
তুমি যেদিন সম্পূর্ণ মাতাল হয়ে যাবে
তুমি যেদিন আমাকে সম্পূর্ণ জন্ম দিতে পারবে
আমিও মাতাল হব শত ভাগ।
দুজন দুজনের ঠোঁটে চুমুক দিয়ে পান করবো অমৃত সুধা
দুজন দুজনের চোখে তাকিয়ে মেটাবো আজন্ম ক্ষুধা।

তবুও ক্ষুধা রয়ে যাবে জানি।

সেদিন তোমাকে আমার ভালোবাসার গান শোনাবো
সেদিন তোমাকে নিয়ে একটা অমর কবিতা লিখবো
পৃথিবী ধ্বংস হলেও আমারা দুজন
সেই কবিতার মায়া জালে আটকা পরে থাকবো।

ভয়ঙ্কর সুন্দর…
মুক্তি নেই।
কোন মুক্তি নেই।

না আমি তোমাকে মুক্তি দেব,
না তুমি আমাকে মুক্তি দেবে
না আমি তোমার কাছে মুক্তি চাইবো
না তুমি আমার কাছে মুক্তি চাইবে।

কারণ তখন আমারা কবিতার মিল বন্ধে সংসার করছি।
কারণ তখন আমারা ছন্দে ছন্দে ঢেউ খেলছি।

প্রথমে কবিতার বিছানায় আমাদের বাসর হবে,
বাসর হবে টানা সাত দিন সাত রাত
সাত দিন সাত রাত টানা ভরা পূর্ণিমা থাকবে
পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় কোনায়
তোমার প্রতিটি কোনায় কোনায় বুনে দেব
আমার স্বপ্নের বীজ।

আচ্ছা, কন্যা সন্তান চাও? না পুত্র?
আমরা কিন্তু সন্তান সন্ততি দিয়ে ঘর ভরে দেব।
না করতে পারবে না।
কি চমৎকার দৃশ্য!
তাই না?
তুমি ডিম ভরা মাছের মত পেট নিয়ে কবিতার জলে সাঁতার কাটছ!
আর আমি তোমার চার পাশে দায়িত্ববান পুরুষের মত গোত্তা খাচ্ছি।

বিষয়টা হচ্ছে,

স্বপ্ন সুন্দর,
কবিতা মোহময়
জীবন নেশা ধরানিয়া।
আর আমরা তো মালাত, তাই না?
আমরা যা মন লয় তাই করতে পারি এখন,
কি বল?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

খোলা চিঠি (অংশ-১২)

অতঃপর আমি ব্যর্থ

তোমাকেই ভালোবাসি