পোস্টগুলি

ভালোবাসা ও সুন্দর্য কখনো এক আবার কখনো ভিন্ন

ছবি
ছেলেটার পাশে তার ভালোবাসার মানুষটিকে নাকি খালাম্মা খালাম্মা লাগে! এত সুন্দরী মেয়েটার পাশে তার স্বামীকে নাকি চাচা মনে হয়! আহা কত দরদ আমাদের! চুক চুক শব্দে সুখে থাকা দম্পতীর সুখের স্বর্গেও আমরা আহাজারি তুলে দেই। যার স্বামীকে তুমি চাচা বানিয়ে দিচ্ছ, সেই স্বামীটার বুকের লোমে নাক গুজে মেয়েটা কতটা শান্তি নিয়ে ঘুমায়- তুমি তা জানোনা। কারন শান্তি নেই তোমার মনে! তুমি চাইলেই কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে সুন্দর সুদর্শন নারী পুরুষের সাথে রাত কাটিয়ে আসতে পারো। টাকার জাদু দেখিয়ে, চাইলে হয়ত কাওকে জীবন সংগীও বানিয়ে নিতে পারো। তবে তা কাচের সংসার। টাকার জাদু যে তোমার একার নেই। তোমার চেয়েও বড় জাদুকর আছে! তিন বেলা ভাত খেয়ে যার রক্ত হয়েছে, কোটি টাকার মালিক হয়ে সোনার চামচে চাওমীন খেলেও হয়ত তার ইজ্জ্বত বাড়তে পারে; তবে ভাতের শান্তি হবেনা। চামড়া টা যত সুন্দর ই হোক না কেন, সেই চামড়ার নিচের মনটা যদি তোমার না হয়- সারা পৃথিবীর মানুষও যদি তোমাদের পারফেক্ট জুটি বলে আসলে তোমাদের পুতুলের সংসার! বহু তারকাদের দেখবা, যাদের তোমরা পারফেক্ট জুটি বলো দোকানে কেনা পুতুলের মত তাদের ঘর বদল হয়। অথচ তোমার চোখে সেই খ...
ছবি
একটা মেয়ের শরীরের গন্ধ তোমার ভালো লাগে । এইটা হচ্ছে প্রেম । আরেকটা মেয়ে আছে , যাকে তুমি অনুভব করো । তাকে ভালো লাগার জন্য তার উপস্থিতি কিংবা শরীরের গন্ধ লাগে না । এটা হচ্ছে ভালোবাসা । কোন একটা মেয়ের সাথে রুমডেট করলে তুমি আনন্দ পাও । আরেকটা মেয়ে আছে যার কথা ভাবলেই তুমি আনন্দ পাও । প্রথমজন হচ্ছে তোমার প্রেমিকা । দ্বিতীয়জন হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষ । তোমার বন্ধু মহলে কোন একটা মেয়ে আছে যার সাথে তুমি গা ঘেঁষে বসার জন্য অস্থির থাকো । এই মেয়েটি হচ্ছে তোমার কামনার বস্তু । একই ভাবে তোমার মস্তিস্কের অন্দরমহলে একটা মেয়ে আছে যার সাথে তুমি গা ঘেঁষে বসার জন্য অস্থির না । কিন্তু তার অনুপুস্থিতির জন্য তুমি অস্থির । তার সাথে কথা বলার জন্য তুমি অস্থির । এই মেয়েটা হচ্ছে তোমার ভালোবাসার মানুষ । একটা মেয়ের নুড পিক দেখার জন্য সব সময় তুমি অপেক্ষা করো । আরেকটা মেয়ে আছে যার নুড পিক তোমার মাথাতেও আসে না । চাইলেও তুমি আনতে পারো না । প্রথমজন হচ্ছে তোমার প্রেমিকা । পরের জন হচ্ছে তোমার ভালোবাসা । একটা মেয়ের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোনে মজা নেয়ার পরেও তুমি মেয়েটার কথা ওইভাবে চিন্তা করো না । সব কিছু ফোনের ওই মজা...

শারদ কন্যা

ছবি
শারদ কন্যা -----------রতন রহমান শরৎ রাতে ধল প্রহরে আবছা আলো ভোর, ঠাকুর বাড়ির উঠোন কী রে মনে পড়ে তোর? মস্ত বড় শিউলী গাছের নিচে সবুজ ঘাস, বিহান বেলা ফুল কুড়াতে আজো কি তুই যাস ? ফুলের গন্ধে মাতাল হাওয়া ভরে যেতো মন, শিশির ভেজা রাঙা মনে কাটতো মধুর ক্ষণ৷ গাছটি ভরে থাকতো ফুটে ভেজা শিউলী ফুল, তুই যে ছিলি শুদ্ধ প্রাণে সই সজনীর মূল। শুভ্র ফুলের শিউলী তলা শীতল ছায়া মাখা, শারদ কন্যার মিষ্টি হাসি রঙ তুলিতে আঁকা৷ মতাল হাওয়া লাগতো আহা কৃষ্ণ কালো চুলে, ঝরা ফুলের স্বপ্ন আজো তোর আঁচলে দোলে৷ হয়তো ভোরে শিউলি ফোটা শিশির কণা ঝরে, সেই প্রভাতের দিনগুলি হায়রে মনে পড়ে।

মেয়েরা বরের কাছে যা চায়

ছবি
হবু বর নিয়ে মেয়েদের মনে মনে থাকা কিছু বাসনাঃ- . ১। মাঝে মাঝে রান্নার সময় রান্না ঘরে বউ এর সাথে থাকবে ! ২। মাঝে মাঝে বিকেলে বাহির থেকে শুকনো জামা কাপড় নিয়ে এসে বলবে, দেখছো তোমারে হেল্প করছি ! ৩। মাঝে মাঝে নিজে মশারি টানিয়ে বলবে, আজ তোমার কাজ কমাই দিছি ! ৪। ঝগড়া হলে পাশের রুমে গিয়ে বা আলাদা শুতে চাইলে জোর করে আটকে ধরে রেখে সেটা না হতে দেওয়া ! ৫। অফিসে যাবার বেলা প্রতিদিন না হোক মাঝেমাঝে কাছে ডেকে হাগ করে কপালে ( ) দেওয়া ! ৬। মাঝে মাঝে বউ এর পছন্দের কিছু অফিস ফিরার টাইমে নিয়ে আসা ! ৭। সাপোর্ট করা,পাশে থাকা ! ৮। অকারণেও একটু পর পর ডাকাডাকি করা ! ৯। মাঝে মাঝে নিজ থেকে বাবার বাড়ীতে নিয়য়ে যাওয়ার কথা বলা ! ১০। বউকে ছাড়া বেশীক্ষণ একা থাকতে না পারা ! ১১। কোথাও বের হলে বা রাস্তা পার হওয়ার সময় হাতত ধরে রাখা ১২। বউ একা বের হলে বাহিরে কোথাও কল করে খোঁজ নেওয়া ! . কয়েক জন আপুর উপর গবেষণা চালিয়ে আবিষ্কার করলাম মেয়েরা এমনটাই চায়......

'ব' আসক্ত বাচ্চা

ছবি
বাসা থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়েছি। কিছুদূর আসার পর পথিমধ্যে জ্যামে আটকে ছিলাম। হঠাৎ খেয়াল করলাম ফুটপাতে দাঁড়ানো এক রমণী আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েরা আমার দিকে তাকালে আমি আমার দুটো বিষয়ের প্রতি নজর দিই। প্রথমত, আমার শার্টের বোতাম ঠিকঠাক মতো আছে কিনা দেখি আর দ্বিতীয়ত, আমার প্যান্টের চেইন ঠিক আছে কিনা দেখি। এসব ছাড়া তাকানোর মতো আর কিছু নেই আমার। খেয়াল করে দেখলাম দুটোই ঠিক আছে। এরপর রমণীর দিকে তাকালাম। এখনও তাকিয়ে আছে। কোলে একটা বাচ্চাও আছে। সুন্দরী নারী কোলে বাচ্চা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সুখ এবং কষ্ট দুটোই অনুভূত হচ্ছে। হঠাৎ রমণী আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার নাম জিজ্ঞেস করল। মলম পার্টি না তো! ইদানীং নাকি মলম পার্টি সুন্দরী নারীদের মাধ্যমে তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। আমি আস্তে করে আমার নাম বললাম। নাম শোনা মাত্র সে আমাকে বলল," আমাকে চিনেছিস? আমি সম্পা।" কোন সম্পা? স্মৃতি ঘাঁটলাম। কিন্তু মনে পড়ছে না। আমি হা করে তাকিয়ে রইলাম। সেটা বুঝতে পেরে সে আবার বলল," মনে নেই স্কুলে থাকার সময় একসাথে কোচিং এ পড়তাম আমরা?" এবার মনে পড়েছে। আমাদের কোচিং এর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ে ছিল...

আমার স্মৃতির একলা ছাদ

ছবি
তোমার চোখে স্নিগ্ধ সকাল আমি দেখি রাতের লাশ, তোমার মুখে নরম আলো আমার বুকে আগুন চাষ। তোমার কানে কোকিল তান আমার সর্বনাশের ডাক, তোমার ফুলে পরাগ মাখা আমার শুধুই তৃষ্ণ থাকা। তোমার চুলে মন্দ বাতাস আমার বনে ঝরার দিন, তোমার ছন্দ নূপুর পায়ে আমার চলায় বাড়ছে ঋণ। তোমার ঠোঁটে পরশ কাঁপন আমার জাহান্নামের রথ, তোমার অধর লাজুক ঢেউয়ে আমার অকূল পাথার পথ। তোমার হাতে সোনার কাঁকণ আমার কানে ধ্বংস সুর তোমার আঁচল নীল সীমানায় আমার নি:শ্ব হৃদয় পুর। তোমার বিকেল অস্তরাগে আমার রাঙা নেশার চোখ, তোমার সন্ধ্যা দ্বীপ শিখা আমার পোড়া সলতে ঝোঁক। তোমার আকাশ ধ্রুপ তারায় আমার আঁধার জোনাক ফাঁদ, তোমার চাঁদে জোছনা বিলাশ আমার স্মৃতির একলা ছাদ। 

আমি তোমার কেউ না

ছবি
তুমি আমাকে আগুনে ফেলে দাও তার পর তোমার বুকে হাত রাখ দেখ, তুমি একটুও জ্বলছ না, আমি দাউ দাউ করে জ্বলবো কিন্তু আমি কিচ্ছু বলবো না। কারন আমি তোমার কেউ না।। আমাকে তুমি পানিতে ফেলে দাও তারপর তোমার ত্বকে হাত রাখ দেখ, তুমি একটুও ভিজছ না, কত জল মানে ব্যাথার অতল আমি খুব জানবো, কিন্তু আমি তোমাকে টানবো না। কারন আমি তোমার কেউ না।। যে পথে মানুষ গেলে হারিয়ে যায় সেই পথে আমাকে ঠেলে দিয়ে দেখো, আমি অয়াসেই পা পাড়াবো। হেঁটে যাবো তুমি চাও যত দূর যত দূর গেলে তুমি আমাকে ভুলে যাবে, কিন্তু আমি তোমাকে ভুলবো না। কারন আমি তোমার কেউ না।। নদীর মত বয়ে যাবো ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাবো তবু তোমার অনিচ্ছায় মুখ খুলবো না, কারন আমি তোমার কেউ না। আমি তোমার কেউ না।।

তুমি আমার হবে

ছবি
তুমি শোনাবে আমায় জল বৃষ্টির গান আমি শুনাব তোমায় ভেজা অভিমান আমাদের সুখে থাকা সময়ের দাবি তুমি আমায় নীল আকাশ স্বপ্ন দেখাবে। আমি তোমার হব ভোর সোনালী সকালে আমি আমায় বেঁধে ফেল প্রেম মায়া জালে সারা দিন মায়া বীণ বাজুক ভালোবাসা উড়ে উড়ে সুরে সুরে তোমারই কাছে আসা। দুটি পাখি সুখে থাকি খড়কুটু নীড়ে ধুলু বালি খুঁটে খাই ফুল নদী তীরে গুধলির সোনা রোদ মেখে নিয়ে গায়ে জোনাকির আলো ঠোঁটে ফিরি পায়ে পায়ে। ডানায় ডানায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে রাত্রি হবে ভোর তুমি গো সখী আমার হবে আমি হব তোমার আকাশ গাঙে ভাসিয়ে উড়াল দিগন্তটা চুমি এই জনমে সেই জনমে আমার রবে তুমি।

আমার মাতাল হওয়া -০১

ছবি
এটা খুব জরুরী, এটা এই মুহূর্তের একমাত্র জরুরী বিষয়। বিষয়টা হচ্ছে আমি তোমাকে নিঃশেষ করে দেয়ার আগে, তুমি আমাকে নিঃশেষ করে দাও। আমি মাতাল হয়ে যাওয়ার আগে, তুমি মাতাল হয়ে যাও। বিষয়টা অনেকটা এই রকমই আর কি। কেন? কারণ, এটা খুব জরুরী! তুমি হয়তো বুঝছ না! এটাই এই মুহূর্তের একমাত্র জরুরী বিষয়। মুল বিষয়টা হচ্ছে …… আমি পুরুষ, তুমি নারী। তুমি তা পারনা যা আমি পারি। আমি পারি তোমাকে লালন করতে, তুমি পারো আমাকে ধারণ করতে। আমি পারি তোমাকে আদর করতে তুমি পার আমাকে বাঁদর করতে। আমি তোমাকে দেখি ধ্যানে তুমি দেখ আমাকে জ্ঞানে, আমি মগ্ন থাকি তোমাকে ধর্ম দিতে আর তুমি মগ্ন থাকো প্রতি মুহূর্তে আমাকে জন্ম দিতে। অদ্ভুত, তাই না!

আমার মাতাল হওয়া-০২

ছবি
আশ্চর্য! তুমি কেন দেখেও দেখনা! আমি তো তোমার ভিতরেই থাকি! তোমার ভিতরেই আমি শীতল পাটি পেতে ঘুমাই আরাম করি , খাই স্বপ্নের আবাদ করি দুঃখের ফসল কাটি ,করি নবান্ন উৎসব। চার দিকে তাকিয়ে দেখি ঠিক ঠাক সব! তাই, নিয়মিত কলেজে যাই সকালে বাজার করি সব সময় আমিই তো অপরাধী! তাই অসময়ে বলি সরি। জানো! তুমি যেদিন সম্পূর্ণ মাতাল হয়ে যাবে তুমি যেদিন আমাকে সম্পূর্ণ জন্ম দিতে পারবে আমিও মাতাল হব শত ভাগ। দুজন দুজনের ঠোঁটে চুমুক দিয়ে পান করবো অমৃত সুধা দুজন দুজনের চোখে তাকিয়ে মেটাবো আজন্ম ক্ষুধা। তবুও ক্ষুধা রয়ে যাবে জানি। সেদিন তোমাকে আমার ভালোবাসার গান শোনাবো সেদিন তোমাকে নিয়ে একটা অমর কবিতা লিখবো পৃথিবী ধ্বংস হলেও আমারা দুজন সেই কবিতার মায়া জালে আটকা পরে থাকবো। ভয়ঙ্কর সুন্দর… মুক্তি নেই। কোন মুক্তি নেই। না আমি তোমাকে মুক্তি দেব, না তুমি আমাকে মুক্তি দেবে না আমি তোমার কাছে মুক্তি চাইবো না তুমি আমার কাছে মুক্তি চাইবে। কারণ তখন আমারা কবিতার মিল বন্ধে সংসার করছি। কারণ তখন আমারা ছন্দে ছন্দে ঢেউ খেলছি। প্রথমে কবিতার বিছানায় আমাদের বাসর হবে, বাসর হবে টানা সাত দিন সাত রাত ...

অতঃপর আমি ব্যর্থ

ছবি
জীবন সাগরের অতুল ঢেউয়ে- ছেড়া পালের তরীর যাত্রাতে আমি ব্যর্থ।  সংশয় জাগে মনে- সাগরের ঢেউয়ে কখন জানি আছড়ে পড়বে তরী।  দিক বিদিকে ছুটে চলা শংকর আজ- ব্যর্থ ইতিহাসের রচনার ভূমিকাতেই আমি।  ক্ষান্ত মন আজ অতি ক্লান্ত- উদ্দেশ্যহীন নিশাচরের মত পথচলা।  জীবন সাগরে ভরাডুবি আজ এখানেই- অমলিন চোখে আজ দৃষ্টি প্রপাত।  শুধু শুধু মিছে আশা ব্যর্থ এই মনে, ক্লান্ত মাঝি আমি নিঃস্বার্থ দাঁড় টানি।  সংকোচ সংশয় সবই ঘিরেছে আমায়- ব্যর্থতা এসে আলিঙ্গনে স্বাগত জানাই, কবে কোন অনিশ্চিত এক ঢেউয়ে- ব্যর্থ তরীতে সাঙ্গ করবে আমায়।

এক জোড়া চড়ুই পাখি।

ছবি
শহর থেকে খানিকটা দূরে গেলে ছোট্ট একটি পাহাড় আছে, পাহাড়টির ঠিক পেছনে ছোট্ট একটি গ্রাম। সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা গ্রামটিতে সুখে শান্তিতে বাস করত একজোড়া চড়ুই পাখি। পাখি দুজনের মাঝে ছিল গভীর ভালোবাসা। দুজনে একসাথে তাদের বাসা বেঁধেছিল মোড়ল বাড়ির বারান্দায়। একদিন তারা দুজন উঠোনে ধান খাচ্ছিল আর মেয়ে চড়ুইটা ছেলে চড়ুইকে গান শোনাচ্ছিল। হঠাৎ মেয়ে চড়ুইটি গান বন্ধ করে ছেলে চড়ুইকে জিজ্ঞেস করল, "প্রিয়তম আমাকে ছেড়ে তুমি কখনো উড়ে যাবে নাতো?" তখন ছেলে পাখিটি বলল- "উড়ে গেলে তুমি আমাকে ধরে আটকে ফেলো।" মেয়ে চড়ুইটি বলল - "নাহ্‌ জোর করে কাওকে আটকে রেখে তো তার মন পাওয়া যায় না।" তখন ছেলে চড়ুইটির চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে পড়লো, সে ধান কাঁটার কাঁচিটি দিয়ে তার পাখাটি কেটে ফেলল আর বলল- এখন থেকে আমরা সবসময় একসাথে থাকব। 😊 এরপর তারা মনের আনন্দে বাস করতে লাগলো, একদিন তারা কাছের একটি জঙ্গলে ঘুরতে গেলো, সেখানে হঠাৎ অনেক ঝড় শুরু হল, মেয়ে চড়ুইটি উড়ে চলে যাচ্ছিল, তখন ছেলে চড়ুইটি বলল- ''তুমি উড়ে যাও আমার তো পাখা নেই, আমি উড়তে পারব না।'' মেয়ে চড়ুইটি ছেলে চড়ুইট...

খোলা চিঠি (অংশ-১২)

ছবি
প্রিয় পরশ প্রেয়সী, জানি না এ লেখাগুলো তোমার চোখে কোনদিন পড়বে কি না বা পরলেও আমার কথা ভাববে কি না। তবুও  বলে যাব। জানো, একতরফা ভালবাসাকে আমি এতদিন তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এসেছি, যারা একতরফা ভালবেসে যায় তাদের কে নিয়ে অনেক হাসি তামাশা করেছি। কিন্তু আজ আমি বুঝেছি, একতরফা ভালবেসে যেতে কতবড় হৃদয় লাগে, কতটা কষ্ট সইতে হয়, কতটা নিঃস্বার্থ হতে হয়। তোমাকে আমি পাগলের মত ভালবাসি কিন্তু আমি যে এখনও তোমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে পারিনি। মনের কোনে এখনও তোমাকে আপন করে পাবার বাসনা রয়ে যায়। তোমাকে হারাতে চলেছি এই কথাটা মনে হলেই জীবণটাকে অর্থহীন মনে হয়, মনে হয় তোমাকে ছাড়া এ ভুবনে থেকে লাভ কি? তুমি না থাকলে যে আমার জীবণ থেকে হাসি আনন্দ সককিছুই বিলীন হয়ে যাবে! তবুও আমি এ পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই, তোমাকে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে চাই, জীবণের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত! আজকাল মহা সমস্যায় পড়েছি। নিজের অজান্তেই তোমার ছবিটার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকি, তোমায় নিয়ে ভাবতে থাকি, এমনকি তোমার কথাও মাঝে মাঝে অনুসরণ করিনা। আসলে তুমি চলে যাবার আগেই দু নয়ন ভরে তোমাকে দেখে নিতে চাই, চোখ জুড়িয়ে নিতে চাই, তাই অমন করি।...

রোমাঞ্চকর আত্মহত্যা

ছবি
আমি আত্মহত্যার কথা ভাবছি। আমি এক খণ্ড নিরবিচ্ছিন্ন মৃত্যুর কথা ভাবছি। দৈনন্দিন বিচ্ছিন্ন সব খণ্ড খণ্ড মৃত্যুতে আমি ক্লান্ত। মখমলের মত নরম ঘাসের জমিনে চিত হয়ে শুয়ে বাম হাতের ধমনীটা এক খণ্ড ধারালো কাঁচ দিয়ে সুচারু শিল্পের মত কচ করে দুভাগ করে দেব! শরীরের জ্বালান পোড়ান সব উত্তাপ মুখে নিয়ে- ফিনকি দিয়ে বেরুবে লাভার মত রক্ত স্রাব! আমার একান্ত ধূসর পৃথিবীটাকে- চোখের কোটরে পুরে নিয়ে যাব ধীরে ধীরে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে যাব, আমি ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে যাব হেমের অতলে আমি ধীরে ধীরে তলিয়ে যাব জীবনের গভীরতম কূপে আমি হারিয়ে যাব…একদম হারিয়ে যাব আমাকে তোমরা আর খুজনা …আমি আর নেই। আহা! মৃত্যু কি রোমাঞ্চকর হতে পারে! কতটা রোমাঞ্চকর হতে পারে জীবনের প্রতিশোধ! কতটা লাল হতে পারে আমার অভিমান! তার চেয়েও লাল আমার রক্তজবার ফুল… সে ফুলের পাতায় পাতায় কাব্য লিখে ছিলাম- তুমি আমার ছিলে কি ছিলেনা- আমি তোমার ছিলাম। তোমরা ভাল থেকো- আমি ভাল আছি… আর শোন আমাকে কেউ আর খুঁজো না কখনো… আমি আর নেই… …… এক খণ্ড নিরবিচ্ছিন্ন মৃত্যুর কল্পনায় আমি লীন হয়ে আছি এই বেশ ভাল আছি- খুব ভাল…তুমিও ভাল থেকো।

তোমায় চাই-১

ছবি
এমন একটা সকাল চাই, ঘুম ভাঙুক আবার তোমার মেসেজে, ঘুমকাতুড়ে চোখ টেনে খোল ছলে-বলে; বা একটা ছোট্ট মেসেজ "গুড মর্নিং, শুভ হোক আজকের দিন" .. । .. এমন একটা ব্যস্ত দিন চাই, চলো হারাই এসপ্লানেড,প্রিন্সেপ ঘাট বা ময়দানে, কাটুক না সময় খুনসুটি, রাগ, অভিমানে .. তোমার অস্থির আঙুল বিলি কেটে যাক আমার আঙুল , শান্ত আদরের দাগগুলো রয়ে যাক তোমার ঠোটে । .. এমন একটা দুপুর চাই, কাঠফাটা রোদ্দুর, একটাই ছাতা, কলেজ স্ট্রীট, হাতে-হাত, মুচকি হাসি আর হাজার জন্মের কথা, চলো না আবার হাঁটি, শুধু হাতটা ধরতে দিবে? তুমি বড্ড বেপরোয়া, নইলে আবার ছেড়ে পালাবে । ..

তোমায় চাই-২

ছবি
এমন একটা আবছা গোধূলি চাই, আকাশের ঈশান কোন রক্তিম হোক, ছাদের চিলেকোঠা, বিরহে মানাক শোক । তুমি আর আমি চোখে চোখ ফেলে চেয়ে থাকি একটিবার  হোক না এরকম, অনেক কথা বলা বাকি .. .. এমন একটা সন্ধ্যে চাই, অনেক ক্লান্তিকর দিন হোক আবার শেষ, কথার ভাঁজে কথা আসুক, অন্তহীন আবেশ, "কিছু খেয়েছেন?" কেউ আবার জিজ্ঞেস করুক খুব যতনে.. বা কখনো রাজ্যের গল্প শোনাক আনমনে ..। .. এমন একটা গভীর কালো রাত চাই, ঘুম থেকে উঠেও যেন তোমাকেই পাই, এটাই চলুক না প্রতিদিন চক্রাকারে, ঘিরে রাখুক না সারাটাদিন আমার আদরে-আবদারে। -- চল না এবার ঘুমুতে যাই তোর আঙুলের ছোঁয়ায়, আয় না একটিবার, ভালোবাসলে কেউ ছেড়ে যায়? আর একবার না হয় তোমার স্পর্শে, তোমার কথায়, তোমার আবেগে ভাসি... জানি তাও ফিরবে না, যাই বলতে নেই, বল আসি..

আমি ভ্রমর হবো

ছবি
একদিন রাস্তার ধারে ~ কোন কফি হাউসে হাতে হাত... চোখে চোখ রেখে এই শহর ছেড়ে বহুদূরে... যেখানে কেউ নেই শত ক্রোশে.. যেখানে ইথারীয় মাধ্যমে ভেসে নেই কোন তরঙ্গ.. নেই কোন উম্মাদ নাগরিক দাবানল... সেখানে দিবারাত্রি...  -- তোমার খোঁপার বনেদি গোলাপে... টকটকে লাল পাপড়ির পেলবতায় ঘুরঘুরে ভ্রমর হব আমি.. একদিন, একটি সবুজ গ্রামে তোমার হৃদয় মন্দিরে.. পুজোর ফুলে ফুলে সাজানো থালির কর্পূর হব.....আমি.... একদিন, হিজলের মিশমিশে ঘনকালো পাতার ফাঁকেফাঁকে একটি নীড়ে, ভালবাসার দুটি চড়ুইপাখি হব.. তুমি ও আমি... -- তারপর... দুটি দিগন্তে সূর্য তারা চন্দ্র মেখে ডানা ঝাপটিয়ে ডাহুকের ডানা হব আমরা... একদিন ঘাসফড়িঙ পাখায় দুটি নক্ষত্র হবে আলো.... ততদিন ধ্রুবতারা তুমি বুকেই জ্বলো, আমি রাত্রি হব...

আমি তোমার সারাটা দিন চাই নি

ছবি
আমি চাইনি তোমার সারাটা দিন । চেয়েছি খুব ভোর বেলা ঘুম থেকে চোখ খুলেই আমার কপালে একটা চুমু দিয়ে বলো - ভালবাসি । ক্ষ্যাপা সূর্য্যের উত্তাপে তোমার কপাল গলা বেয়ে ঘাম ঝড়ে পড়ার সময় তুমি আমার তর্জনীর অভাব বোধ করে বলো - তুমি নেই কেনো ? আমি চাই তুমি শুষ্ক চুলে তেল মাখিয়ে আমার জন্য মুখ গোমড়া করে অপেক্ষা করে বসে থাকো । এক পৃথিবীর অভীমান বুকে জমিয়ে বলো - আমার বিনি টা কি আজ বাঁধা হবে না ? খুব যে ইচ্ছে তোমায় নিয়ে বিলের ঘোলা জলে নৌকো করে ভেসে বেড়াবার । গল্প করার ঝগড়া করার দু হাতে তোমায় বুকে টেনে নিয়ে রাগ তাড়াবার । আমার যে ভীষণ ইচ্ছে তোমার খোঁপায় রোজ একটি করে ফুল চড়াবার । আমার হাতে পিঠে গালে চিমটি কেটে তুমি একা থাকার সবটা দিনের তাবোদ অভিযোগ তুলে বলবে - তুমি আমায় একটুও ভালবাসো না । আর আমি সে সময় হাঁটু গেড়ে তোমার সামনে বসে হাত টেনে ধরে বলি ! ভাল যদি না'ও বেসে থাকি ! তবু....... তোমায় ছাড়া যে আমি অপূর্ণ । তা বিশ্বাস করি ।

তোমাতে আমাতে

ছবি
কতকাল পাঁজরে পাঁজর ঘষে আগুন জ্বালিনি উল্লাসে কতকাল একান্ত দাবির মিছিলে নিজেই ছুঁড়েছি টিয়ার-শেল। ভুলে গেছি কতকাল মেশেনি তোমার নিঃশ্বাস আমার নিঃশ্বাসে! আর লুটেরার মত কেরে নেই নি তোমার ফুসফুসের সবটুকু বাতাস ! তুমিই জানো আমার একমাত্র নোংরা বাহাদুরি! চোখ বন্ধ করে এক মুহূর্তেই হৃদয়টা খুলে দিতে পারি। তোমাতে আমাতে আচানক অন্ধকারের ঝর উঠার আগে এই রসায়ন টুকুই খুব বেশি জরুরী।

অন্তর্লীন সুন্দর

ছবি
অন্থর্লীন সুন্দর তুমি,  প্রতিদিনই যেন নতুন; আমি এক দর্শনাভিলাষী, ব্যর্থ পথিক এক। আনমনে ভ্রমণ করি ওই সৌন্দর্যমন্ডিত শরীরে, শুধু কি শরীরে?নয় কি হৃদয়ে? দূরে থেকেও যেন কাছে চলে যাই, চিন্তায়, ভাবনায়, আচমকা কল্পনায়, কিছুতেই এড়াতে পারি না তোমার উপস্থিতি, তুমি পারো কি? আমি বলেছি তোমায় । তুমিও জানো সে গোপন কথা। থাক গোপন কথার গোপন ধাধা আমার হৃদয়ে থাকো তুমি নিত্যদিনের মুক্তোর মতন ভালোবাসার ফ্রেমে বাধা।

কিছু নিঃসঙ্গ রাত

ছবি
নিশীথ রাত বাঁশ পাতার ফাঁকে লাজুক একাদশীর দেখী তার বিরহে, স্বাক্ষী থেকো তোমরা ও ফুল ও ফল ও নিশাচর পাখি। আমি ভেবে পাইনা আগা-মাথা, এদিকে সেদিকে অযথা হাটা-হাটি অসহ্য অনল ধিক-ধিক সদা মনের মাঝে, নির্ঘুম ক্লান্ত চোখ দুটি বুঝিনি আজও ভালবাসার একোন পরিণতি, না পারলাম শত্রু হতে না পারলাম বন্ধু হয়ে পাশে বসে রাখতে চখে-চোখ হাত তার হাতে ! কুল-মান হারা অসামাজিক বক-প্রেমিক, শুনি ঝিঁ ঝিঁ পোকার গান নিশীথ বিষাদী গুঞ্জন শেষে কানে আসে ভেসে মোয়াজ্জিনের আজান আমায় ফাঁকি দিয়ে সময়ের অনুগামী প্রতারিণী চাঁদও হারায় আসলে আমরা কেহ কারও নয় কিন্তু আমরা সবার সবায় ! পাখি ডাকে কলরব তুলে ঘোষনা করে নতুন দিনের শুভ সূচনা, আলো ফোঁটে পুবের আকাশে তবুও হয়না শেষ অনর্থক ভাবনা!  

কখনো যদি

ছবি
 আচ্ছা আমি যদি আকাশের তারা হয়ে যাই, তুমি কি তখনও আমাকে দেখবে? অপলক দৃষ্টিতে তুমি কি- বর্তমানকেই খুঁজবে? ধরে নাও আমি দূর বহুদূর, কোন এক অচিনপুরে- তুমি কি তখনও থাকবে বসে, অভিমানের দৃষ্টিতে আমার পথ চেয়ে? যদি না বলে হারিয়ে যাই, অনেক অনেক দূরে তোমার সীমানা ছেড়ে, তুমি কি অভিযোগ নিয়ে মনে ঘৃনা করবে, না কি ভালবেসে মুক্ত করে দিবে আমায়? যদি মিথ্যা স্বপ্ন দিয়ে মন ভেঙ্গে দেই, আশাকে মিথ্যা সাধে আঁখি জলে ভেজাই তুমি কি আর বিশ্বাস করবে না আমায়, নাকি সব মনের ভুল ভেবে উড়ায়ে দিবে? যদি না ভাব এমন, মনে রেখ- ভালবাস আমায় মনের গভীরে, বাস্তবতা থেকেও অনেক বেশি, হ্যা অনেক বেশি ভালবাসও আমায়।  শুধু আমাকে ভালবেসও, আর কিছু চাই না তোমার কাছে, শুধু মনে রেখ ভালবাসি, হ্যা ভালবাসি সত্যি তোমাকে অনেক বেশি। ,

ইচ্ছে করে

ছবি
মনের গহীন অরণ্যে আচমকা জাগে শিউলিলতা বিভোর-নিমগ্ন হয়ে খুঁজি হৃদয়ের পাতা, তখনই ভর করে হৃদয়ে বিরহের বিষন্নতা আমি পরে থাকি নিয়ে হাতে একমুঠো বিষন্নতা। জানো ?তোমাকে খুব ভালবাসতে ইচ্ছে করে কোন বসন্ত প্রহরে বকুল ফুলের মালা হাতে ছুটে যেতে ইচ্ছে করে তোমার শহরে! আনন্দ বেদনার প্রতিটি একলা প্রহরে।। আমি ডানা মেলে তোমায় ছুতে যাই, তোমার চোখের কাজলের ছোয়া পেতে চাই, ঘন কালো মেঘ কেটে আসবে না জানি কাছে, তবুও বেশ আছি, যেমন রেখেছো তুমি অবহেলার মাঝে।

একফোটা ঘুম চাই

ছবি
নিস্ফল ছোটাছুটি নিষ্পাপ আবেগ, পরিচিত সেই সীমাহীন শূন্যতা! আমি শুধুই রংহীন রংধনুরুপ, পাথরের রাস্তার ধাধার ন্যায় মরীচিকা। তোমার চলার মেঠো পথে, ধূলোয় লুটিয়ে পড়ে ভালবাসা। আমি ধূলিমাখা উদাস বালক এক, আছি বসে নিয়ে একফোঁটা জলের আশা! তোমার বাষ্পে দ্রবীভূত গভীর প্রেম, আকাশে বাধ তুমি মেঘের বাসা। আমার সর্বশেষ সুমুদ্দুর শুকিয়ে কাঠ, চৈত্রের সাথে জমে নিত্য নির্মম সখ্যতা। আমার পঞ্জিকায় বসন্ত ধুলায়ডোবা অতীত, তোমার পাড়ায় জমে উঠে ফাল্গুনী মেলা। আমি রুক্ষ রুষ্ট তৃষ্ণার্ত বালক এক, আছি বসে নিয়ে একফোঁটা জলের আশা। নিঃশ্বাসে নিকোটিন পোড়া বিশ্রী ঘ্রাণ, দূষিত করে ফেলেছে আমার বিদেহী আত্মা। চিরবন্দী আমার অভ্যাসের নিউরন, মস্তিষ্কে জমে মাদকের নির্ভয় আড্ডা। আমার চিতায় জ্বলে তোর অনল, তুমি উন্মাদিনী মাতো ঝর্ণাধারা। আমি জ্বলন্ত ক্রমসঃমৃত বালক এক, আছি বসে নিয়ে একফোঁটা জলের আশা! নিশ্চুপ নির্ঘুম দীর্ঘ রজনী বিস্তৃত আধার, স্মৃতির রাজ্যে দাঁড়িয়ে আছি আমি একা। মুখোমুখি হয়ে গিয়েছে একাল সেকাল, অবশিষ্ট শুধু সেই প্রথম সংখ্যা। তোমাত নিত্য ঘুমের সনে বাসর, আমার যেথায় টানি যবনিকা। আমি ঘুমহীন নষ্...

একাকি চলেছি অনন্ত পথ

ছবি
রাতের অন্ধকারে ঝুরঝুর বৃষ্টির ধ্বনিরা যখন, খেলা করে চেনা জানা প্রকৃতির মাঝে মেঘ রৌদ্রের খেলা হয়তো শেষ হয়েছে, অনেক আগে, সোনালি মুখের প্রান্তে অনিশ্চিত হাতে, কোনো এক যৌবনের খেলোয়াড়ি উৎসাহে মেতেছে, পাপের অস্তিত্ব দীর্ঘ হয়েছে আর, তাই নেশার ঘোরে রুবাইয়াৎ পড়ে পড়ে ঈশ্বর পোষণ করে, নিজের মাঝে নিজে, তার ভাবনা করুণ হয়ে হয়ে যেন সব, মিথ্যে আর্ত শব্দের মাঝে খেলা করে, আমার করুণা হয়, আমার করুণা হয়। গভীর নলকূপের জলে আর শিশিরের জলো বিন্দুর মাঝে অস্তিত্ব মিশেছে, খুঁজে পাই খুঁজে পাই তার ভাবনার জগৎ হয়তো বিলীন করতে গিয়ে বিলীন হয়েছি নিজে, তবুও থেমে থাকতে চাই না এখানে, সাদা কালো ছায়া গুলো, নরম শীতলে হাজার বছর শুধু হৃদয় হতে হৃদয়ে জন্মান্তরে খেলা করে হয়তো প্রকৃতি আর মানুষের খেলা গুলো অতৃপ্ত হয়ে হয়ে এভাবেই খেলা করে।

হাসি কাব্য

ছবি
আমার খুব পছন্দের একটা কবিতা , যার প্রতিটা লাইনে আমি তোমায় ভাবি। তোমার হাসি ভেসে উঠে আমার চোখের সামনে। ভালোবাসি সেই উচ্ছল প্রানবন্ত হাসি কে আর হাসতে থাক মানুষটিকে।   তুমি হাসবে বলে,   আকাশ কিছু মেঘ পাঠিয়ে দিলো তোমাকে ছায়াতলে রাখতে, যেন তোমার ঠোঁটের সুষ্মিত হাসিটুকু শুকিয়ে না যায়। তুমি হাসবে বলে, ক্রন্দনরত ছোট্ট শিশুটিও কান্না থামালো, উচ্ছ্বল ঝর্ণার মত তোমার হাসির শব্দটুকু যেন তার আর্ত কান্নায় ঢাকা পড়ে না যায়! তুমি হাসবে বলে, মেঘমেদুর আকাশটা থামিয়ে দিলো, ক্ষণে ক্ষণে চমকানো অশনির তীক্ষ্ণ রশ্মিছটা, যেন তোমার হাসির দ্যুতিটুকু হারিয়ে না যায়। তুমি হাসবে বলে, একাদশীর চাঁদটাও মেঘের আড়ালে চলে গেলো। তার সোনামাখা মুখটাকে মেঘে মেঘে ঢেকে- যেন তোমার হাসির আভাটুকু ম্লান হয়ে না যায়। এত কিছুর পরেও তুমি হাসলেনা, তাই মেঘগুলো ঝরে ঝরে বৃষ্টি হয়ে এলো, শিশুর কান্নার সাথে সাথে অশনি চমকালো, লাজুক একাদশী চাঁদটাও একেবারে ডুবে গেলো!

নির্বীকার স্বপ্ন

ছবি
পরী তুমি স্বপ্নরঙ হবে আমার? লাল-নীল রঙে রাঙিয়ে তুলবে আমার স্বপন! ঠিক যেমন চায় তোমার মন।। পরী তুমি কি সকাল হবে আমার? স্নিগ্ধ সোনালি আলোর পরশে ভাঙাবে আমার ঘুম! তোমার হাসি জুড়ে বেয়ে নামবে ভালোবাসা বৃষ্টির ঝুম।। পরী তুমি কি চাঁদ হবে আমার? তোমার মায়াবি আলোয় আমি ভুলবো সব, সমস্ত দিনের ব্যস্ততা, যান্ত্রিক কর্কশ কলরব।। পরী কি আমার হবে, শুধুই আমার? এ জীবন নাহয় তোমাতে দিবো তুলে, সঁপে দেব সকল বাস্তবতা ভুলে । পরী তুমি কি কবর হবে আমার? মৃত্যুর পর পরকালের যাত্রার সহযাত্রী,  দুজনে এক সাথে পাড়ি জমাবো হবো স্বর্গপ্রার্থী।

তোমাকেই ভালোবাসি

ছবি
এই ক্ষুদ্র জীবনের চলার পথের বাকে বাকে দেখা হয়েছে হাজার মনের সাথে যোগাযোগ হয়েছে উচু থেকে নিচু বহু ধরনের মনের সাথে কিন্তু বিশ্বাস কর এখনো পাইনি আমি নিজের মত করে খুব সাধারণ একটি মনের খোঁজ, যেমন ঠিক তোমার মতন। ব্যস্ততার গ্যারাকলে ভালবাসা কাকে বলে সব কিছু ভুলে গিয়ে সবাই মত্ত হয়ে মেতে আছে লোভের ঘোরে। আমি সাধুর আড়ালে দেখেছি বহু দাম্ভিকতার ছায়া, দেখেছি উচু-নিচু মনের পার্থক্য ওজন । সুযোগ পেলে সবাই নিজের দোষটা অন্যের কাধে গছিয়ে দেয়ায় মত্ত। এখানেই প্রধান ব্যবধান, এই বৃহৎ ভুবনে হাজার কোটি মানুষের বসবাস, সবাই ছলা কলা কৌশল দেখিয়ে বিত্ত গড়ে তোলার কাজে ব্যস্ত। কিন্তু কাউকে পাইনি তোমার সাথে তুলনা করার জন্যও। কেউ হাসতে পারে নি তোমার মত, কারো চোখে চোখ রেখে হৃদয়ে প্রশান্তি মিলে নি, কারো অবয়বে তোমার মত নিস্পাপ সৌন্দর্যরূপ ভাসে নি। তাই আমি তোমাকেই ভালোবাসি, তুমি যেমনই হও না কেন।  আমি কত কী দেখেছি এই জীবনে শৈশব ছেড়ে কিশোর, কিশোর ছেড়ে যৌবনে যৌবন ছেড়ে বার্ধকের পথে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভব ঘুরে সন্ন্যাসী হয়ে কত কী দেখেছি আলো আর আঁধারের মাঝে আমি দেখেছি সবার ভি...

তুমি

ছবি
বৃষ্টির  জলে সিক্ত পদ্মপাতা জল তরঙ্গে তার দুঃখ শোধিতে চায় মিশে রৌদ্র-মেঘের ঘনঘটায় বৃষ্টি তবু তারে বুঝিতে না চায়। যদি মুখোমুখি বসি তুমি আমি  ব্যকুলতায় বহু কথা জমা থাকে মনে আগের মতই ভয়ে পিছু ফিরে চাই  মনে পড়ে যায় তোমায় চাওয়ার মানে। ইচ্ছেগুলোর তো আছে অদৃশ্য ডানা ছুয়ে দেখতে চায় তোমার উড়ন্ত চুল ছুয়ে দেখা হয়ে উঠে না আমার ক্ষণিকের ব্যবধানে ভাঙে ইচ্ছের ভুল তুমি তো আকাশের বুকে স্নিগ্ধ চাঁদ আর আমি মাটিতে লুটানো বাসি ফুল। ফুলে ফেপে উঠে ইচ্ছের ক্ষোভ ইচ্ছের প্রভাব পড়ে সমস্ত হৃদয় জুড়ে প্রকাশ্যে আসে তোমার অভাব বিনা দোষে সিগারেটে হৃদয় পুড়ে মগজের অবহেলার আচরন অনেকটা তোমার মতন তুমি থেকে যাও দূরে ,অনেক দূরে।।

তোমায় দেখার আশায়

ছবি
কুয়াশায় ঢাকা রাত তখনো হয় নি ভোর ধরণীর সকলি  নিদ্রাবিভোর তখনো আমি চোখ মেলে রাখি এক পলক তোমায় দেখার আশায়। যখন চৈত্রের খড়তাপে চড়ে দ্বিপ্রহর বাতাসে খেলে উষ্ণতার ঝড় আমি তখনো মনের একলা পথে দাঁড়িয়ে এক পলক তোমায় দেখার আশায়। যখন ঈশান কোণে জাগে কালবৈশাখি বিষ্ফোরিতে ঢেউ উভয় কূল ভাঙে মনের নদীতে তখনো বাড়াই তরী এক পলক তোমায় দেখার আশায়।

খোলা চিঠি (অংশ-০৮)

ছবি
  প্রিয় মায়াবতী, তোমাকে সতিই অনেক ভালোবাসি। একটা কমন কনফিউশন থাকতে পারে যে আমি তো তোমার দিকে খুব কম তাকাই। সত্যি বলতে তোমার দিকে তাকাতে আমার ভয় লাগে কারন যখনই তোমার দিকে তাকাই মনে হয় আবার নতুন করে প্রেমে পরি। যতবার দেখি মনে হয় আজ বোধয় প্রথম দেখলাম। এই বোধয় মুখ থেকে কোন কথা বেরিয়ে যাবে যা তুমি শুনতে প্রস্তুত নও বা আমার থেকে যেমন কথা আশা কর না। এমনিতেই বোঝা যায় তুমি হয়ত আমার কাছ থেকে একটু এড়িয়ে চলার চেষ্টা কর। তখন অদৃশ্য কোন ভয় আমাকে পিছু টানে, জানান দেয় আমি তোমাকে চাইতে পারি না, অতটুকু সম্বল আমার নাই। তোমার অবস্থান অনেক উপরে, ক্ষুদ্র কুটিরে তুমি বন্দি হবে কেন? তখনই ফিরে আসি । নিজে ফিরে আসলেও মন ঠিকই পরে থাকে তোমার আঙিনায় সে পিছু ছাড়ে না তোমার । উচ্চাভিলাষী প্রত্যাশা নিয়ে , অপ্রাপ্য ভালোবাসার টানে সে পড়ে থাকে । নিজেকেই মানাতে ব্যর্থ আমি, বড্ড ভালোবেসে ফেলেছি তোমায় নিজের অজান্তেই কখন যেন ভালোবাসা জমে নিজের ভেতরে দেয়াল তৈরী করে ফেলেছে সেটা বুঝতেই পারি নি।সরাসরি তো তোমাকে বলা সম্ভব হবে না, তাই এখানে লিখছি এই ভালোবাসা দিবসে "ভালোবাসি ,তোমাকে অনেক ভালোবাসি" আর............

খোলা চিঠি (অংশ-০৬)

ছবি
প্রিয়দর্শীনি, তোমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কতটুকু ভালোবাসি তোমায়? এর কোন সোজা সাপ্টা উত্তর আমার কাছে নেই। আমি নিজেও কনফিউজড যে আমি কতটুকু ভালোবাসি তোমায়। মাঝে মাঝে মনে হয় অক্সিজেনের মত, নাহ মৃত্যুর পর তো অক্সিজেনের প্রয়োজন শেষ কিন্তু মৃত্যুর পর কি তোমায় আমি ভুলে যাবো? কখনো না, তোমাকে ছাড়া আমি বেহেস্তেও শান্তি পাবো কি? আচ্ছা... প্রতিদিন একটি করে গোলাপ দিয়ে যদি বলি "ভালোবাসি তোমায়"?? দিন পার হবে, মাস পার হবে বছর পার হবে, যুবক থেকে প্রাপ্ত বয়ষ্ক, মধ্যবয়ষ্ক, তারপর বার্ধক্য আসবে তুমি বুড়ি হবে আমি বুড়ো হবো হয়তো পৃথীবির সব গোলাপ শেষ হয়ে যাবে ।কিন্তু তোমার জন্য আমার যে ভালোবাসা তা কমবে কি? নাহ কমবে না। তোমাকে আমি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভালোবাসি না, শুধু তোমার যৌবনের সৌন্দর্যকেই ভালোবাসি না, শুধু তোমার হাসিকেই ভালোবাসি না, শুধু তোমার চঞ্চলতাকেই ভালোবাসি না। আমি ভালোবাসি তোমার রেগে আগুন হওয়া বিষ্ফোরিত চেহারাকেও, চিন্তায় কপালে ভাজ পড়া মুখকেও, গ্রীষ্মের দুপুরের কড়া রোদে ঘেমে যাওয়া মুখকেও। সময় চলতে থাকবে, তোমার দীঘল কালো চুলে পাক ধরবে, সৌন্দর্য স্ফিত হয়ে আসবে, আমি জিইয়ে রাখবো তোমার...

তুমিই শুরু এবং তুমিই শেষ

ছবি
তোমাকে দিয়েই হয়েছিলো শুরু তাই তোমাকে দিয়েই শেষ করতে চাই। তোমার মাঝেই আমি সব হারিয়ে, আমার অস্তিত্ব বলতে আর কিছু নাই। তুমি হৃদয় আকাশে মায়াবী চাঁদ আনন্দ বেদনার মহাকাব্য তুমি দিনের চিন্তা রাতের স্বপ্ন আমি তোমার কথাই শুধু ভাববো। প্রথম চাওয়ার মূল্য অনেক মনে রেখ তুমি তাই। তোমাকে দিয়েই হয়েছিলো শুরু, তাই তোমাকে দিয়েই শেষ করতে চাই।

মায়াময়ী

ছবি
মায়াময়ী মায়াময়ী ।। নয়না মায়া চাহিনী, এসেছিলো প্রভাত হয়ে, চেয়ে অমনি বলেছিলো ভালো আছি, আপনি? অনন্ত ক্ষন তার সপ্নে ডুবি! কথায় কথায় চেয়ে একেপরে, অভীক্ষা ইতি করি। লাজুক পরমা মুখ ডাকিয়া, কেমনে জানি দেখি?। প্রেরক প্রাপক পত্র চালাচালি, এমনি ঘুম ভাঙ্গিয়া, শুভসকাল মায়াময়ী। কথা যেন রয়ে যায় বার বার ই, পত্রের পর ও পত্র লিখি। মনালয়ে প্রেম উঁকিঝুঁকি, সে যেন ঠিক আমি ই। সকাল দুপুর বিকাল রাত্রি, বেলা বেলা তার সপ্ন মনে আঁকি, তার সহিত না বলা কথা ভাগাভাগি। সে হাসিয়া, বলে বসে, "আমি তো আপনাকে ভালো বাসিতে পারি নি"।

পরশ প্রেয়সী

ছবি
পরম পরশ প্রেয়সী ।। সৌন্দর্য প্রলুব্দ জাদুকরী, মধ্যাকটি তনুয়া মায়াকরী।  রূহজান মুঠো করি, গর্ভক কেশ করি, সাঁজিয়ে লজ্জানী, ঘোমটা তুলি। আঁকুশি সুন্দরী, নাম ছড়িয়ে জগতিনী। কাঁদিয়ে রক্ষী কেউ নয় আপনাদী, সময় মানহরন করি, অর্থের নোট ফেকে তনুয়ামুখী। পবিত্রের পরিচয় দুর্লভী, কাটিয়ে রঙ্গিন রাত, ঘরে ফিরে অভিনয়ে কৃষ্ট করি। সুন্দরী ইন্দ্রজালে, সুন্দরী ই ফাঁদে পড়ি। বিলিয়ে যত সুখাদী, কাঁদিয়ে কাঁদিয়ে নিবে তত, যতটা মুঠ করেছি। সৌন্দর্য প্রলুব্দ ইন্দ্রনী।

কিছু ভালোবাসার সমাপ্তি

ছবি
- একটা মেয়ের গল্প জানি, যে বিএফের নিত্য মানসিক টর্চারে অতিষ্ঠ হয়ে ফ্রেন্ডসদের আড্ডায় কখনো কখনো বলে ফেলে, 'ও যে আমাকে এতো কষ্ট দেয়; আমার আল্লাহ ওর বিচার করবে।' তার ঠিক ক্ষাণিক বাদেই আনমনে বলে উঠে, 'ওকে ছাড়া আমি থাকবো কি ভাবে? বাঁচবোই বা কি করে?' . - একটা ছেলের গল্প জানি, যে জিএফকে প্রচন্ড রকম ভালোবাসে। আর জিএফ ছেলেটার সেই অনুভূতি নিয়ে ফুটবলের মতো খেলা করে। নিত্য অবহেলা আর উপেক্ষায় প্রানবন্ত সেই ছেলেটা এক সময় নিশ্চুপ হয়ে যায়। তবু মেয়েটাকে সে ভালোবেসে যায়। . - আমি এক MBBS ডাক্তারের গল্প জানি, যে প্রায় বারো বছরের সম্পর্কের পরে পছন্দের মেয়েটিকে বিয়ে করেছিল। কিন্তু সংসার জীবনে সুখি হতে না পেরে এখন বাউল জীবন যাপন করে। . - আমি বড়লোক বাবার সেই সুন্দরী মেয়েটার গল্প জানি, যে খুব সাধারণ ঘরের একটি ছেলেকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো। সেই ভালোবাসার মূল্য দিতে তার ঠাই হয়েছে রামেকের বেডে পাজর এবং মেরুদন্ডের ভাঙ্গা হাড় নিয়ে; স্বামী নামক জীবটার প্রচন্ড মার খেয়ে। . - আমি পরিচিত সেই আপুটারও গল্প জানি, যে নিখুত কালো এবং অতি সাধারণ ঘরের মেয়ে হওয়ার পরও ধবধবে সাদা প্রতিষ্ঠিত ছেলেটির মাথার...

খোলা চিঠি (অংশ- ০২)

ছবি
সুপ্রিয়া, কেন জানি না খুব খারাপ লাগছে। নিঃসঙ্গতা ,নির্ভরতা নাকি শূন্যতার  জন্য,ঠিক বুঝতে পারছি না। শুধু এ টুকু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরের কোথায় জেনো লুকানো জায়গা থেকে একদল অস্থিরতা প্রচণ্ড কান্না হয়ে দু’চোখ ফেটে বেরুতে চাইছে। তুমি কাছে নেই বলে শূন্যতা তার ইচ্ছে মত উন্মত্ত হয়ে উঠেছে এই নিঃঙ্গতার পালে হাওয়া দিতে। আমি যেন তোমার বুকে মুখ লুকালেই বাঁচি এখন! কিন্তু তুমি যে কত দূরে...অনেক দূরে। আজ শেষ বিকেলে তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসার পথে হঠাত করে ছুটে আসা দমকা হাওয়া এসে আমার থেকে সব হাসি কেরে নেয়, যে হাসিটা তোমাকে দেখার, তোমার হাসিকে দেখার। বুঝলাম আমি এখনো খুবই নীরিহ, এখন তোমাকে কিছু বলতে গেলে সেটা তোমার কাছে হবে খুবই হাস্যকর। অথচ এই জীবনে তুমি-ই আমার একমাত্র মানুষ, যার পাঁচটি আঙ্গুলের শরণার্থী আমার পাঁচটি আঙ্গুল, যার উষ্ঠের এক চিলতা হাসিই আমার কাঙ্খিত ও একমাত্র গন্তব্য। যার এলোমেলো চুলে আমি নির্দিধায় হারিয়ে যেতে রাজি। যার দুটো অদ্ভুত সুন্দর চোখের চাহনী ঠিক সেই অদ্ভুত ফুলগুলোর মতই মতই সুন্দর, দেখে আমি প্রতি মুহুর্তে তার মায়ায় ডুবতে থাকি। আজ হৃদয়ের করুন আর্তনাদে যে পরম সত্য আ...